এই পোস্টে দুনিয়া ও আখেরাত সম্পর্কে আলোচনা করবো, দুনিয়া হচ্ছে মুসলমানদের জন্য জেলখানা আর কাফেরদের জন্য জান্নাত কাফেররা দুনিয়াতে যা চাই তা করতে পারবে যা ইচ্ছা তা করতে পারবে। তাদের কোন ধরা বাধা নেই তারা যতদিন বেঁচে আছে ততদিন ইচ্ছা মতো ভোগ করতে পারবে কিন্তু তারা মৃত্যুর পর জবাবদিহিতা করতে হবে।
পক্ষান্তরে মুসলমানদের জন্য দুনিয়া হচ্ছে জেলখানার মত কারাগারে যেমনিভাবে কয়েদিরা নিজের ইচ্ছামত কোন কিছু করতে পারে না ঠিক তেমনি ভাবে দুনিয়াতে মুসলমানরাও তার ইচ্ছা মতে সবকিছু করতে পারবা না। আল্লাহ তাআলার আদেশ-নিষেধ মেনে চলতে হবে আল্লাহতালা যেটা পালন করতে বলছেন সেটা পালন করতে হবে আল্লাহতালা যেটা নিষেধ করছেন সেটা থেকে দূরে থাকতে হবে, না হলে মৃত্যুর পরে আল্লাহ তাআলার নিকট জবাবদিহিতা করতে হবে যারা আল্লাহ তাআলার আদেশ-নিষেধ মেনে চলবে না তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নাম আর যারা আল্লাহ তাআলার আদেশ নিষেধ মেনে চলবে দুনিয়াতে আল্লাহতালার হুকুমগুলো মেনে চলবে আল্লাহ তাআলা তাদের জন্য রেখেছেন জান্নাত।
জান্নাত হচ্ছে সমস্ত কিছু উড়তে ঈমানদাররা জান্নাতে থাকবে চিরস্থায়ী। আর বেইমানদের জন্য আল্লাহ তাআলার হুকুম লঙ্ঘনকারীদের জন্য জাহান্নাম জাহান্নাম হচ্ছে সবচেয়ে কষ্টদায়ক জায়গা যেখানে বেইমানরা কাপের মুশফিকরা আল্লাহর শত্রুরা নবীর দুশমনরা থাকবে তারা চিরস্থায়ী সেখানে বসবাস করবে। যে সমস্ত ব্যক্তিদের কে আল্লাহ তায়ালা বেশি পছন্দ করেন আল্লাহতালা তাদেরকে বেশি পরীক্ষা করেন দুনিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছেন নবী রাসুলরা তারপর সবচেয়ে বেশি পরীক্ষার সম্মুখীন হবেন যারা নবী-রাসূলদের কাছের মানুষ যারা নবীর আসলদের ওয়ারিশ যারা দুনিয়ার মানুষদের কাছে নবীদের বার্তা পৌছাবে আল্লাহর দিনকে কায়েম করার জন্য চেষ্টা করবে তারা বেশি পরীক্ষার সম্মুখীন হবে আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে ভালোবাসেন তাদের জন্য পরকালে জান্নাত প্রস্তুত করে রেখেছেন সেজন্য তাদেরকে পরীক্ষা করেন তারা মৃত্যুর পরে চিরস্থায়ী জান্নাতে প্রবেশ করবে।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন খুতবা দেওয়ার জন্য দাড়ালেন আল্লাহতালার প্রশংসা ও আল্লাহ তাআলার গুনাগুন বর্ণনা করার পরে তিনি সকলকে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলেন হে লোক সকল এই দুনিয়াটা হলো অস্থিরতার জায়গা এখানে স্থির থাকার জায়গা না । এটা দুঃখের জায়গা সুখ করার জায়গা নয়। যে এই সত্যটা জানতে পেরেছে সে দুনিয়ার জীবনের আনন্দের জন্য খুশি হয় না। আপনাদের বিপদে পড়লে দুঃখ পাই না।
প্রত্যেকের জেনে রাখা উচিত আল্লাহতালা দুনিয়াকে পরীক্ষার জায়গা বানিয়েছেন আর আখেরাত কে বানিয়েছেন ফল ভোগ করার জায়গা যে দুনিয়াতে পরীক্ষা উত্তীর্ণ হবে ভালো ফলাফল করবে আল্লাহর সকল আদেশ নিষেধ মেনে চলতে সে আখেরাতে ভালো ফল ভোগ করবে। আল্লাহ তায়ালা মুসলমানদের জান ও মালের বিনিময়ে জান্নাত দান করবেন যারা আল্লাহর রাস্তায় নিজের জান ও মাল দিয়ে দিতে পারবে তাদের জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামিন জান্নাত প্রস্তুত করে রেখেছেন।
আল্লাহ তাআলা যার জন্য যেটা ফয়সালা করে রেখেছেন সেটাই হবে আল্লাহতালা যদি কাউকে বাঁচাতে চান তাকে কেউ মারতে পারবেনা আল্লাহতালা যদি কাউকে ধ্বংস করতে চান তাহলে পৃথিবীর কোন শক্তি তাকে রক্ষা করতে পারবে না।
যারা হক্কানী আলেম-ওলামা মানুষদের কাছে দ্বীন প্রচার করেন আল্লাহ তাআলার কালামের কথা বলেন মানুষদেরকে কোরআন হাদিসের দাওয়াত দেন হকের কথা বলতে। কাউকে ভয় করেন না আল্লাহ তাআলার দ্বীন প্রচার করতে তারাই বেশি পরীক্ষার শিকার হয় কেননা আল্লাহ তায়ালা তাদের জন্য রেখেছেন পরকালের সুখ ও শান্তি এবং চিরস্থায়ী জান্নাত আল্লাহ রাব্বুল আলামিন প্রত্যেক মুসলমান নারী পুরুষকে ঈমানের ওপর অটল থেকে চলার তৌফিক দান করুন এবং দুনিয়ার লোভ লালসা থেকে বিরত থাকার তৌফিক দান করুন আমিন।