বিপদের সময় দোয়া ইউনুস এর আমল ও ফজিলত: এবং কষ্টের সময় পড়ার বিশেষ উপকারিতা

আমরা যারা মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষ রয়েছি। আমরা জানি যে, দোয়া ইউনুস  এর ফজিলত কতটুকু এবং গুরুত্ব কত। তাই আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সামনে দোয়া ইউনুস এর ফজিলত এবং উচ্চারণ এবং আমল পড়ার নিয়ম অর্থ এবং শানে নুযুল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করব। 

আমরা দোয়া ইউনুস পড়ার নিয়ম এবং উপকারিতা সম্পর্কে জানার জন্য আপনারা যারা ও ইন্টারনেটে অনুসন্ধান করে থাকেন। তারা আমাদের ওয়েবসাইটে এসে জেনে নিতে পারে। সমাজে দোয়া ইউনুস পড়ার বেশ কিছু নিয়ম এবং প্রচলন রয়েছে। যদিও অনেকের এ ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে। 

দোয়া ইউনুস  এর ফজিলত

আল্লাহর পয়গম্বর হযরত ইউনুস আলাই সাল্লাম দেশ ত্যাগ করে যাওয়ার সময় নদীতে ঝাপ দিয়েছিলেন। এই সময় তিনি মাঠের মাছের পেটে বন্দি হন বলে জানা যায়। এ অবস্থায় বিপদে পড়ে তিনি মহান আল্লাহ তাআলার নিকট আকুতি মিনতি করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন । 

এর মাধ্যমে তিনি বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন। এরকম আপনারা কিছু শুনেছেন হয়তো। তবে দোয়া ইউনুস এর পরিচয় এবং ফজিলত সম্পর্কে বেশ কিছু মতভেদ এবং উক্তি রয়েছে। 

তা জানতে আমাদের ওয়েবসাইটে রাখুন। আমরা সাধারণত বিপদ মুসিবতের দোয়া ইউনুস পড়ে থাকি। এছাড়াও বিভিন্ন সময় আমাদের দোয়া ইউনুস পড়া যেতে পারে।

 দোয়া ইউনুস এর ফজিলত এবং গুরুত্ব অনেক বেশি। যে কোন বিপদ মুসিবত দুশ্চিন্তা, পেরেশানি এবং সকল প্রকার রোগ বালাই থেকে মুক্তি পাওয়ার উদ্দেশ্যে দোয়া ইউনুস পাঠ করা হয়। 

দোয়া ইউনুস  এর আমল

ইউনুস আলাইহিস ওয়াসাল্লাম ছিলেন একজন সম্মানিত নবী। কুরআনের ১০ নম্বর সূরা নামকরণ তার নাম অনুসারে হয়েছে। অন্যান্য নবীদের মত তার সবচেয়ে বড় দায়িত্ব ছিল আল্লাহর প্রতি ও আল্লাহর দিকে তাদেরকে আহবান করা। কিন্তু কাজটা অথচ সহজ ছিল না। 

ইউনুস আলাইহিস সালাম এর ক্ষেত্রে এমনটা ঘটেছে। আল্লাহ ছাড়া অন্য কারোর প্রতি উপাসনা ছেড়ে অদ্বিতীয় আল্লাহর প্রতি অনুগত হতে তিনি মানুষকে আহবান করেছিলেন। এতে তাকে বিভিন্ন সময় বিপদে আপদে এবং নিজের জীবন রক্ষা করে চলতে হতো।

তিনি যখন প্রথমবার মক্কা এবং মদিনায় ইসলাম প্রচার করতে শুরু করেন। তখন তিনি বিভিন্ন ধরনের বিপদের সম্মুখীন হয়েছিলেন। তিনি যখন আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়ার জন্য আহবান করেছিলেন। তার ডাকে সাড়া দেননি কেউ। এতে নিরাশ হয়ে তিনি তাদের ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। 

তবে হাদীস শরীফে এসেছে: ইউনুস আলাইহিস সালাম সে বৃহৎ মাছের ভিতরে ৪০ দিন অক্ষত অবস্থায় ছিলেন। তখন তিনি আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন। এই মূলত দোয়া ইউনুস এর কুরআন শরীফে স্থান পেয়েছে। সাধারণত বিপদ আপদ কোন ধরনের বালা মুসিবত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দোয়া ইউনুস পড়া যেতে পারে। 

দোয়া ইউনুস  পড়ার নিয়ম

আপনার অনেক সময় ইন্টারনেটে এসে দোয়া ইউনুস পড়ার নিয়ম এবং শানে নুযূল সম্পর্কে জানতে চান। এবং দোয়া ইউনুস পড়ার নিয়ম এবং এর ফজিলত সম্পর্কে জানতে অনেক সময় ইন্টারনেট অনুসন্ধান করে থাকেন। 

তাই আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সামনে দোয়া ইউনুস করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করব। খতমে ইউনুস পড়ার নিয়ম হলো মহান আল্লাহর কাছে একান্ত এবং বিনয়ের সহিত নাম নম্রতা এবং একাগ্রতা এবং পূর্ণ আন্তরিকতার সাথে যাবতীয় বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করার দোয়া।

তাই আমরা বড় খতমের দোয়া পড়ার নিয়ম জানাবো। আপনাকে দোয়া ইউনুস পাঠ করার পরে আল্লাহর কাছে কাঙ্ক্ষিত উদ্দেশ্যে দোয়া করতে হবে এবং সেই দোয়া আল্লাহ কবুল করবেন।

এক্ষেত্রে দোয়া কবুলের শর্তাবলী অবশ্যই আপনাকে মানতে হবে ।এই দোয়া আমলকারীকে অবশ্যই হালাল উপার্জন করতে হবে। কোন ধরনের পাপ এবং হারাম খাদ্য এবং হারাম ইনকাম করা যাবে না।

দোয়ার শুরুতে আল্লাহর প্রশংসা, নবী সাল্লাল্লাহু সালামের উপর দরুদ পাঠ করতে হবে। দোয়ার শেষে আবার দরুদ পাঠ করা উত্তম। অন্তরের ভিতরে দোয়া কবুল হওয়ার বিশ্বাস রাখতে হবে এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে। 

দোয়া ইউনুস  প্রতিদিন ১০০০ বার পাঠের ফজিলত।

আপনারা কি জানেন দোয়া ইউনুস পাঠ করলে কি কি ধরনের ফজিলত আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদের উদ্দেশ্যে লিখে রেখেছেন। হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে দৈনিক এক হাজার বার দোয়া ইউনুস পড়লে পদমর্যাদা সমুন্নত হয় এবং আল্লাহ তার রুটি রুজি সমৃদ্ধি দান করেন

তার দুঃখ যন্ত্রণা পেরেশানি সকল ধরনের চিন্তা থেকে মুক্ত করে দেন সকল প্রকার কল্যাণের দ্বার ও তার জন্য খুলে দেওয়া হয় শয়তানের প্ররোচনা থেকে তাকে রক্ষা করা হয় দোয়া ইউনেস যে ব্যক্তি প্রতিদিন ১০০ বার পাঠ করবে তার জীবনের সকল দুর্দশা এবং দারিদ্রতা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে 

দোয়া ইউনুস এর বাংলা অর্থ

দোয়া ইউনুস এর বাংলা অর্থ যদি জানা থাকে। 

আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে এসে জেনে নিতে পারেন। আপনারা যে কোন সূরা পাঠ করার আগে অবশ্যই আপনারা সেই সূরার অর্থ কি। সে সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।

যেটা আপনার অবশ্যই বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে বাধ্য করবে। আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সামনে আলোচনা করছি। তা দেখে নিতে পারেন। দোয়া ইউনুস এর অর্থ হচ্ছে ‘তুমি ছাড়া কোন মাবুদ নাই, তুমি মহিমান্বিত, নিশ্চয়ই আমি জালিমদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম। 

এটা হচ্ছে মূলত দোয়া ইউনূসের বাংলা অর্থ। আশা করি বন্ধুরা, এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা দোয়া ইউনুস এর বাংলা অর্থ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন।

দোয়া ইউনুস  এর উচ্চারণ

আপনারা যারা দোয়া ইউনুস পড়তে চান। অবশ্যই আপনাকে দোয়া ইউনুসের বাংলা উচ্চারণ সম্পর্কে জানতে হবে। যারা আরবি পড়তে জানেন না, তাদের কাছে বিষয়টি ভালো লাগে। 

তাই আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সামনে দোয়া ইউনুস এর বাংলা উচ্চারণ, দোয়া ইউনুস এর অর্থ এবং এর শানে নুযুল  ফজিলত এবং হাদীস শরীফ থেকে কিভাবে এসেছে এবং এই দোয়া কুরআনের আয়াতে কিভাবে স্থান পেল

তার বিস্তারিত ইতিহাস এই পোস্টের মাধ্যমে আলোচনা করেছি 

আমি আপনাদের সুবিধার্থে দোয়া ইউনুস এর অর্থ এবং উচ্চারণ আরবির পাশাপাশি বাংলা বই রচনা করেছি। 

দোয়া ইউনুস  কখন পড়তে হয়

মুসলিমদের কাছে দোয়া ইউনুস খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল, যে কোন সংকট এবং অস্থিতি পূর্ণ সময় এই দোয়া পড়া সুন্নত। আল মহানবী ইউনুস যখন বিপদে পড়েন, তখন এই আল্লাহর সাহায্যের উদ্দেশ্যে পাঠ করেছিলেন। তাই আপনারা যখন বিপদে পড়বেন

এই দোয়া পাঠ করতে পারেন। এছাড়া মানুষের বর্তমান সময়ে বালা-মুসিবত অভাব সবসময় লেগেই থাকে। তাই আপনি যদি আল্লাহর উদ্দেশ্যে তার কাছে ক্ষমা চেয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে চান। তাহলে দোয়া দোয়া ইউনুস পাঠ করতে পারেন। 

দোয়া ইউনুস কতবার পড়লে খতম হয়

আপনার মত অনেকেই আছেন, যারা দোয়া ইউনুস কতবার পড়লে কত খতম হয়। সে সম্পর্কে জানতে চান। আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সামনে আলোচনা করছি। দোয়া ইউনুস হচ্ছে কুরআন মাজীদের ১০ নম্বর সূরা, তাই এই সূরার ফজিলত অনেক।

যেকোনো ধরনের বালা মুসিবত থেকে রক্ষা পেতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে এই সূরাটি পাঠ করতে হবে। বিপদ আপদ বা দুশ্চিন্তার সময় এ দোয়া বেশি বেশি পড়তে হয়। যতবার ইচ্ছা যতবার খুশি এবং যতবার পারেন।

এই দোয়াটি পড়তে হবে। তবে এরকম কোন দলিল নেই যে, এতবার পড়তে হবে। আপনার যতবার সম্ভব ততবার দোয়া ইউনুস পাঠ করবেন।।এরকম কোন বাঁধা ধরার নিয়ম নেই, যে এত বার পড়তে হবে। 

আরো পড়ুন >> রাসূলুল্লাহ সা. এর হিজরত