পবিত্র মক্কা শরীফের ইতিহাস

এই পোস্টটি পড়ে জানতে পারবেন পবিত্র মক্কা শরীফের ইতিহাস সম্পর্কে। মুসলমানদের প্রাণ কেন্দ্র মক্কা ও মদিনা শরীফ সৌদি আরবে অবস্থিত মুসলমানদের যে সমস্ত পবিত্র স্থানগুলো আছে তার মধ্যে মক্কা মদিনা ও বাইতুল আকসা মসজিদ, পৃথিবীতে এমন কোন মুসলমান নাই যারা এই তিনটি স্থানকে ভালোবাসেন না সকল মুসলমান এই তিনটি স্থানকে অনেক পছন্দ করেন। সমগ্র পৃথিবীতে যত মুসলমান আছে সকলে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে প্রতিবছর একবার মক্কা শরীফে উপস্থিত  হয়ে হজ্জ করার জন্য কিন্তু এসব ভাগ্য সবার হয় না শুধুমাত্র যারা বিত্তশালী  যাদের ধন সম্পদ আছে তাদের, আর হজ হচ্ছে ইসলামের একটি ফরজ বিধান ফরজ বিধানটি হচ্ছে শুধু তাদের জন্য যাদের অর্থ সম্পত্তি আছে আর যাদের অর্থ সম্পত্তি নেই তারা এ পরাজ বিধান পালন না করলেও কোন সমস্যা হবে নাই। 

মক্কা শরীফের ইতিহাস 

পৃথিবীর পবিত্র স্থান ও সম্মানিত স্থান হচ্ছে মক্কা শরীফ, এটি সৌদি আরবের মক্কা শহরে অবস্থিত মক্কা শরীফ হচ্ছে  বাইতুল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহর ঘর পুরো পৃথিবীর সমস্ত মুসলমানরা এ ঘরকে সামনে রেখে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন এবং মৃত ব্যক্তিদেরকে দাফন করানোর সময় মক্কার দিকে মুখ করিয়ে দাফন করে। মক্কা শরীফের ২৪ ঘন্টা আল্লাহ তাআলা রহমত বর্ষাল হতে থাকে। যারা পবিত্র স্থানটিতে যায় তারা সর্বক্ষণই আল্লাহ তাআলার রহমতের  নিচে থাকে। মসজিদুল হারাম হচ্ছে, কাবা ঘরের চারপাশে তাওয়াবের জাইনা বেষ্টন করে যে মসজিদটি আছে সেটি, হচ্ছে মসজিদুল হারাম। পবিত্র কাবা ঘরের চারপাশে তাওয়াফ এর জায়গার মেঝেকে মাতাক বলা হয়। কাবা ঘরের তাওয়াফ শুরু করার কর্নার দিক কে  রুকনে হাজরে আসওয়াদ বলা হয়। এর ডান পাশের কর্ণার  টিকে রোকনের ইরাকি বলা হয়। তার ডান পাশের কর্নারটিকে রোকনে শামি এবং তার ডানপাশের কর্নার টিকে রুকনে ইয়ামিনি বলা হয়। 

পবিত্র মক্কার ফজিলত 

পবিত্র মক্কা নগরী  মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ স্থান। এখানে সব ইবাদত  অনেক বেশি প্রত্যেকটা ইবাদত বন্দেগির চাওয়ার অনেক বেশি, এখানে কোন মহামারী আসবেনা আবার এইখানে যদি পাপ করা হয় তা অনেক বড় পাপ এখানে দাজ্জাল প্রবেশ করতে পারবে না পবিত্র মক্কা শরীফকে ফেরেশতারা পাহারা দিয়ে রাখছেন তাই মক্কা নগরী সমস্ত কিছু থেকে নিরাপদ বেশি থাকে। 

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আদি ইবনে আল হামরা  রা: হতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন। আল্লাহর কসম হে মক্কা তুমি আল্লাহর সকল স্থানের  চেয়ে উত্তম এবং আমার কাছে তুমি অনেক প্রিয়। আমাকে যদি মক্কার কাফেররা তোমার কাছ থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য বাধ্য  না করতো তাহলে আমি কখনো তোমাকে ছেড়ে চলে যেতাম না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন  মসজিদে হারামের নামাজ  অন্যান্য স্থানের এক লক্ষ নামাজের ছেয়ে উত্তম। মসজিদে নববীর নামাজ পড় অন্যান্য স্থানের ১০০০ নামাজের চেয়ে উত্তম।  

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময় কাবা ও হারাম শরীফকে কেন্দ্র করে হারাম শরীফের চারপাশে বসতি স্থাপন করেছিলেন। পরবর্তীতে মুসল্লিদের জন্য নামাজের জায়গা ভিদ্দি করার জন্য হারাম শরীফের এরিয়া আস্তে আস্তে বড় করেন। খোলাফায়ে রাশিদিনের যোগে প্রথম হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু মক্কার সীমানা বৃদ্ধি করেন। তারপর হযরত ওসমান রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আশেপাশের লোকদের থেকে জায়গা ক্রয় করে মক্কার সীমানা আরো বৃদ্ধি করেন। এবং চারিপাশে প্রাচীর দিয়ে দেন 

পরবর্তীতে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জুবায়ের রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু মসজিদের পূর্ব দিকে জায়গা বৃদ্ধি করেন। এবং আবু জাফর মনসুর পশ্চিম দিকে ও শামের দিকে জায়গা বৃদ্ধি করেন। 

এরপর থেকে প্রায় এক হাজার বছর মসজিদের সীমানা বৃদ্ধি করার আর কোন কাজ হয়নি ১৩৭০ খ্রিস্টাব্দে সৌদি আরবের বাদশা আব্দুল আজিজ ইবনে আব্দুর রহমান আল সাউদ এর আমলে মসজিদের জায়গা প্রায় ৬ গুন বৃদ্ধি করা হয়েছে 

আল্লাহ তাআলা পৃথিবীর সকল মুসলিম নর-নারীকে পবিত্র মক্কা শরিফ কে কমপক্ষে  একবার জিয়ারত করার তৌফিক দান করুন আমিন। 

আরো পড়ুন >> সূরা ইখলাসের ফজিলত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *