রাসূলুল্লাহ সা. এর হিজরত

রাসূলুল্লাহ সা. এর হিজরত  আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বশেষ নবী। এটা আমরা সবাই জানি। আমাদের উচিত একজন মুসলিম হিসেবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর জীবনী সম্পর্কে জানা।

তিনি কিভাবে জীবন যাপন করতেন, তার নবুওয়াত প্রাপ্তির স্থান  কিভাবে তিনি আল্লাহর ওহী প্রাপ্ত হলেন। তা আমাদের অবশ্যই একজন মুসলিম হিসেবে জানা উচিত। আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সামনে রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু সালামের গুরুত্বপূর্ণ হিজরত সম্পর্কে আলোচনা করব। 

এছাড়া এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম হিজরত কখন করেছেন, কেন করেছেন এবং হিজরত কোথায় করেছেন।  হিজরত পরবর্তী কারণ এবং ফলাফল কি ছিল, তার ব্যাখ্যা। হযরত হিজরতের শিক্ষা সকল তথ্য জানাবো এই পোস্টের মাধ্যমে। তাহলে বন্ধুরা চলুন মূল আলোচনা শুরু করা যাক। 

রাসূলুল্লাহ সা. এর হিজরত

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সালাম, রাসূলুল্লাহ সা. এর হিজরত সম্পর্কে আমাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে। আগে জানতে হবে হিজরত শব্দের অর্থ কি। 

হিজরত সম্পর্কে জানলে আমরা কিছুটা হলেও ধারণা পাবো যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম কেন হিজরত করেছিলেন। হিজরত শব্দের অর্থ হচ্ছে দেশত্যাগ। অর্থাৎ কোন পবিত্র কাজের উদ্দেশ্যে নিজ ভূখণ্ড থেকে অন্য ভূখণ্ডে কিছুদিনের জন্য ভ্রমণ করার নামই হচ্ছে হিজরত। রাসুলুল্লাহ সালাম ইহুদিদের অত্যাচারের কারণে হিজরত করেছিলেন। এই হিজরতের কারণ এবং রাসুলুল্লাহ সাঃ আমাদের অনেক কিছু শিক্ষা দিয়েছেন। যা জানাবো এই পোস্টের মাধ্যমে। 

আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে নিলে জানতে পারবেন। আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সামনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাম হিজরতের জীবনী সম্পর্কে আলোচনা করব। এছাড়া আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বুখারী শরীফ এবং বিভিন্ন হাদিস শরীফ থেকে রাসূলুল্লাহ সা. এর হিজরত সম্পর্কে যেসব হাদিস পাওয়া যায় তা জানাবো। 

মক্কা থেকে মদিনা হিজরত
হিজরত

মহানবী সাঃ কত খ্রিস্টাব্দে মদিনায় হিজরত করেন

হিজরত কি এবং হিজরত কাকে বলে, হিজরত সাধারণত আরবি শব্দ, আরবি শব্দ থেকে হিজরত শব্দটির উৎপত্তি, হিজরত শব্দের অর্থ ত্যাগ করা। অন্য জায়গা থেকে আরেক জায়গায় চলে যাওয়া। দেশ ত্যাগ বা মাতৃভূমি ত্যাগ করার ইসলামের ইতিহাসে যুগান্তকারী একটি ঘটনার নাম হচ্ছে হিজরত। 

আমরা জানি হিজরত কি। ইসলামের পরিভাষায় আল্লাহ সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে বা ধর্মীয় নিরাপত্তা জনিত কারণে আমাদের যখন এক দেশ থেকে অন্য কোন দেশে ভ্রমণ করতে হয়। সেটাকে আমরা হিজরত বলে থাকি। তবে হিজরতের প্রকারভেদ রয়েছে। 

মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করা, পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা নামও হিজরত  ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে প্রতিকূল স্থান থেকে অনুকূলে গমন করার নাম ও হিজরত বলা যেতে পারে। আল্লাহর নৈকট লাভের উদ্দেশ্যে সকল ধরনের চাহিদা পরিত্যাগ করে, নিজেকে আল্লাহর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা এক ধরনের হিজরত। 

মহানবী সাঃ এর মদিনায় হিজরতের কারণ ও ফলাফল

তারা জানেন যে, মহানবী সাঃ হিজরত করেছেন এবং এর ফলাফল রয়েছে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে, মহানবী সাঃ হিজরতের কারণ কি। আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সামনে আলোচনা করব। আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়লে জানতে পারবেন। 

ইসলামী আন্দোলনের পথ কাটায় ভরা, ফুল বিছানো নয়, রজনী যতই গভীর হয় ততই কষ্ট বাড়তে থাকে। 

হিজরত শব্দটি আরবি, এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমন করা হিজরতের আভিধানিক অর্থ। দ্বিতীয় অবস্থানের জন্য প্রথম স্থান ছেড়ে ত্যাগ করা জন্মভূমি ত্যাগ করা বা সম্পর্কে সেট করা, হিজরতের পরিচয় ইসলামিক পরিভাষায় আল্লাহ এবং রাসুলের সন্তুষ্টির

উদ্দেশ্যে, ইসলামের পতাকা সমুন্নত করার জন্য আমরা দেশ ত্যাগ করে থাকি। সেটা মূলত হিজরত নবুওয়াত প্রাপ্তির পর ১৩ বছর বয়সে 622 খ্রিস্টাব্দে আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুকে নিয়ে মহানবী সাঃ এর মক্কা থেকে মদিনায় দেশান্তরিত হয় কে হিজরত বুঝায়।

হিজরতের গুরুত্ব ব্যাখ্যা

এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে, হিজরতের গুরুত্ব কি। তাই আজকে এর মাধ্যমে আমি আপনাদের সামনে হিজরতের গুরুত্ব এবং ব্যাখ্যা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করব। অনেক সময় হিজরতের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে বলা হয়। 

আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সামনে জানাচ্ছি। হিজরতের গুরুত্ব কি কি। নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত পৃথিবীর ইতিহাস একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত। এর মাধ্যমে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একটি আদর্শের ভিত্তিতে স্বতন্ত্র

 ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দ্বার উন্মুক্ত হয়। সাধারণত হিজরতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে হিজরী ক্যালেন্ডারের সূচনা ঘটে। হিজরী পরবর্তী সময়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাম প্রশিক্ষণের ভিত্তিতে একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব বলে উল্লেখ করেছিলেন। 

রাসূলুল্লাহ সা. এর হিজরত এর  কারণ সমূহ আলোচনা কর

এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম কেন হিজরত করেছিলেন। মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেছিলেন সাধারণত ইহুদীদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য এবং আল্লাহ তাআলার আদেশে হিজরত করেছিলেন। 

মক্কা থেকে মদিনা পর্যন্ত সাথে তার সাথে ছিলেন, আরো সাহাবী নবী সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম ৬১০ খ্রিস্টাব্দে মহান আল্লাহর পক্ষে নবুওয়াত প্রাপ্তি লাভ করেন এবং তার দাওয়াত এবং সঠিক নির্দেশনা অনুসরণ করে থাকেন। আল্লাহতালার উদ্দেশ্যে মহানবী সাঃ হিজরত করেছিলেন। আমরা এই হিজরত থেকে অনেক কিছু জানতে পারি।। 

আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে হিজরতের কারণ সমূহ স

হিজরতের ঘটনা
হিজরত

ম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে জানতে চাইলে প্রথমে ওয়েবসাইটটি ভালোভাবে অন্যান্য আর্টিকেল মনোযোগ দিয়ে পড়ে নিলে জানতে পারবেন।

 

রাসূলুল্লাহ সা. এর হিজরত হিজরতের শিক্ষা

এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে, হিজরত থেকে আমরা কি শিক্ষা পাই। হিজরত থেকে আমরা সকল ধরনের শিক্ষা অর্জন করতে পারি। হিজরতের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে পেতে পারি।

এস আর হিজরতের মাধ্যমে এবং হিজরত পরবর্তী সময়ে হিজরী ক্যালেন্ডারের উৎপত্তি হিসেবে মনে করা হয়। হিজরতের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি কিভাবে শত্রুকে দমন করা যায় এবং তাদের কাছ থেকে কিভাবে নিজেকে রক্ষা করা যায়। হিজরতের মাধ্যমে আমরা ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে পারি এবং নিজেকে আরও ধৈর্যশীল হিসেবে গড়ে তুলতে পারি। 

আল্লাহতালা পবিত্র কুরআনের সম্পর্কে বলেন, “স্মরণ করো, তোমাদের বন্দী করা বা হত্যা করার জন্য কিংবা নির্বাসিত করার চক্রান্ত যারা করে “। এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সামনে হিজরতের শিক্ষা কি। সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করেছি।

 মদিনায় প্রথম হিজরত করেন কোন সাহাবী

আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে, মদিনায় হিজরত করেন কোন সাহাবী। ইবনে ইসহাক এর মতে, মুহাজির সাহাবীদের মধ্যে সাবু সালামা সর্বপ্রথম মদিনায় হিজরত করেছিলেন, 

তারপর হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এবং আমের ইবনে রাবিয়া এবং তার স্ত্রী হযরত লায়লা মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেছিলেন। সে হিসেবে বোঝা যায় হচ্ছে হিজরতকারী প্রথম মহিলা হচ্ছে হযরত লায়লা রা:। 

সর্বপ্রথম মুসলমানগণ কোথায় হিজরত করেন এবং কখন

আপনারা রাসূলুল্লাহ সা. এর হিজরত অন্যান্য সাহাবী কখন হিজরত করেছিলেন। তা জানতে আপনার অনেক সময় ইন্টারনেট অনুসন্ধান করে থাকেন। তাই আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সামনে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করেছি। 

তাহলে বন্ধুরা চলুন মূল আলোচনা শুরু করা যাক। হিজরত অর্থ পরিত্যাগ করা বা ছেড়ে দেওয়া। মহানবী সাল্লাল্লাহু সালামের হিজরতের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস জানুন। মূলত দিন ও মানবতার বৃহত্তম স্বার্থে নিজ দেশ ত্যাগ করা বা বিসর্জন দেওয়াকে হিজরত বলে যা একটি সাহসী পদক্ষেপ।

হিজরত আমাদের শিখায় কিভাবে বিপদে ধৈর্য ধরতে হয়। কিভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথ সুগম হয়। 

আরো পড়ুন >> তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *