সুচিপত্র
- 1 সূরা ইয়াসিন এর ফজিলত – ভূমিকা
- 2 মূল: সূরা ইয়াসিন এর ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা
- 3 হাদীসের আলোকে সূরা ইয়াসিন এর ফজিলত
- 4 মানসিক প্রশান্তির জন্য সূরা ইয়াসিন এর ফজিলত
- 5 অভাব দূর করতে সূরা ইয়াসিন এর ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা
- 6 কিয়ামতের দিনের সুপারিশকারী সূরা ইয়াসিন
- 7 সুরা ইয়াসিন: আয়াত সংখ্যা ও গুরুত্ব
- 8 সূরা ইয়াসিন এর ফজিলত, বাংলা অর্থ ও উচ্চার
- 9 সূরা ইয়াসিনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত
- 10 সৎ উদ্দেশ্যে সূরা ইয়াসিন পাঠের উপকারিতা
- 11 সাহাবায়ে কেরামের বক্তব্য অনুযায়ী ফজিলত
- 12 সূরা ইয়াসিনের ফজিলত অন্যান্য সূরার তুলনায়
- 13 অনলাইনে সূরা ইয়াসিন সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ
- 14 সূরা ইয়াসিন এর ফজিলত নিয়ে শেষ কথা
- 15 Share Now:
সূরা ইয়াসিন এর ফজিলত – ভূমিকা
সূরা ইয়াসিন এর ফজিলত এতটাই ব্যাপক যে একে কুরআনের ‘হৃদয়’ বলা হয়ে থাকে। ইসলাম ধর্মে কুরআনের প্রতিটি সূরার রয়েছে আলাদা আলাদা গুরুত্ব ও ফজিলত। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এই সূরাটি সম্পর্কে বিশেষভাবে তাগিদ দিয়েছেন। মৃত্যুপথযাত্রী ব্যক্তির জন্য, গুনাহ মাফের আশায়, কিংবা জীবনের নানা বিপদাপদ থেকে মুক্তির আশায় মুসলমানরা এই সূরাটি পড়ে থাকেন। এই লেখায় আমরা আলোচনা করবো কেন সূরা ইয়াসিন এত মর্যাদাপূর্ণ এবং তা নিয়মিত পাঠের কী কী ফজিলত রয়েছে।
মূল: সূরা ইয়াসিন এর ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা
আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সামনে সূরা ইয়াসিন এর ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করব। সুরা ইয়াসিন পবিত্র কোরআনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূরা। এই সূরা পাঠ করলে বেশ কিছু ফজিলত আছে বলে জানা যায়।
মানুষের সর্বোত্তম হেদায়েত লাভের একটি পবিত্র ধর্মগ্রন্থের নাম হচ্ছে কুরআনুল কারীম। কুরআনুল কারীমে যে ১১৪টি সূরা রয়েছে। তার মধ্যে ৩৬ নম্বর সূরার নাম হচ্ছে সুরা ইয়াসিন। এই সুরা ইয়াসিন সম্পর্কে আপনার অনেক সময় জানতে চান। এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন। কুরআনুল কারীমে যে ৩০ টি পারার রয়েছে। তার মধ্যে ২২ তম পারা থেকে এই সূরা শুরু এবং ২৩ তম পারা অবধি এই সূরার বিস্তৃত।
হাদীসের আলোকে সূরা ইয়াসিন এর ফজিলত
বিভিন্ন হাদিস শরীফ, যেমনঃ বুখারী, মিশকাত, হাদিস শরীফে এসেছে যে, প্রতিদিন যে ব্যক্তি একবার করে এই সূরা আমল করবে। তার জীবনের সকল দুর্দশা বিপদ আপদ থেকে আল্লাহ তায়ালা রক্ষা করবেন। এছাড়া পরকালে লাভের আশায় এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেতে চাইলে যে ব্যক্তি এবং যে নেককার ব্যক্তি এই সূরা প্রতিদিন আমল করবে। তার জন্য রয়েছে জান্নাতের সকল দরজা প্রবেশ করার ব্যবস্থা।
মানসিক প্রশান্তির জন্য সূরা ইয়াসিন এর ফজিলত
আমরা প্রতিদিনই মানুষের সাথে চলাফেরা করি। নিজের অজানাতে এবং নিজের জানাতে আমরা সকল ধরনের পাপ কাজ করে ফেলি। এগুলো থেকে বিরত থাকতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে সুরা ইয়াসিন। সুরা ইয়াসিন মানুষের মনের প্রশান্তি এনে দেয়। এবং তাকে আল্লাহ ভীরু করতে সহযোগিতা করে। আপনারা যারা সূরা ইয়াসিন অর্থসহ ভালোভাবে পড়বেন। তারা এই সূরার ফজিলত এবং অর্থ এর ভিতরের সকল অন্তর্নিহিত অর্থ বুঝতে পারবেন।
অভাব দূর করতে সূরা ইয়াসিন এর ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা
আমাদের দৈনন্দিন চলার পথে আমরা হয়তো বা অভাব অনটনের মধ্যে বসবাস করছি। কিন্তু দৈনন্দিন এই সূরা পাঠ করলে আপনার অভাব অনটন দূর হবে। আপনার পারিবারিক স্বচ্ছলতা আসবে এবং সকল ধরনের বালা মুসিবত থেকে মুক্ত করে দেবেন আল্লাহ তায়ালা। অনেক হাদিস শরীফে এসেছে, যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে সূরা ইয়াসিন সম্পূর্ণ পাঠ করবে। সারাদিন তার মুখে স্বাচ্ছন্দ থাকবে এবং মুসিবত থেকে মুক্ত থাকবেন।
কিয়ামতের দিনের সুপারিশকারী সূরা ইয়াসিন
আল্লাহ তাআলা বলেন কিয়ামতের দিন অনেক মানুষ থেকে জান্নাতে পাঠানোর জন্য সুপারিশ করা হবে। যারা সুরা ইয়াসিন বেশি বেশি আমল করেছে। তারা জান্নাতে প্রবেশের দিকে এগিয়ে থাকবে।
সুরা ইয়াসিন: আয়াত সংখ্যা ও গুরুত্ব
পবিত্র কুরআনুল কারিমে প্রায় ১১৪ টি সূরা রয়েছে। তার মধ্যে ৩৬ নম্বর সূরার নাম হচ্ছে সুরা ইয়াসিন। এই সূরার আয়াত সংখ্যা ৮৩। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন যে, সূরা ইয়াসিন হচ্ছে পবিত্র কোরআনের হৃৎপিণ্ড।
সূরা ইয়াসিন এর ফজিলত, বাংলা অর্থ ও উচ্চার
এই পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সামনে সুরা ইয়াসিন পড়ার ফজিলত এবং বাংলা অর্থ এবং আরবি তরজমা ও সকল কিছু আলোচনা করব। আপনারা যদি মনোযোগ দিয়ে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়েন। তাহলে সুরা ইয়াসিন সম্পর্কিত সকল তথ্য জানতে পারবেন।
এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সামনে সূরা ইয়াসিন এর ফজিলত ও বাংলা উচ্চারণ এবং তরজমা সম্পর্কে আলোচনা করবো। আপনারা যারা এ সম্পর্কে জানার জন্য গুগলে এসে সার্চ করছেন। আমাদের ওয়েবসাইটে এসে দেখে নিতে পারেন। আমরা সুরা ইয়াসিন এর প্রত্যেকটি আয়াত আলাদা আলাদা ভাবে উল্লেখ করেছি। এবং সেগুলোর বাংলা উচ্চারণ এবং তরজমা দিয়ে দিয়েছি। এতে আপনারা এই সূরার তরজমা এবং ফজিলত সম্পর্কে জানতে পারবেন। আশা করি বুঝেছেন।
সূরা ইয়াসিনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত
সুরা ইয়াসিন মক্কায় অবতীর্ণ হয়। তাই এই সূরার ফজিলত অনেক বেশি। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেনঃ যে, ব্যক্তি প্রতিদিন সূরা ইয়াসিন পাঠ করবে। তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খোলা থাকবে।
সৎ উদ্দেশ্যে সূরা ইয়াসিন পাঠের উপকারিতা
যেকোনো সৎ উদ্দেশ্যে এই সূরা পাঠ করলে আল্লাহ তা’আলা তার মনের সকল ধরনের আশা পূরণ করবেন। জিন গ্রস্ত বা পাগল লোকের উপর এই সূরা পাঠ করে ফু প্রদান করলে তিনি অতি দ্রুত সুস্থ হবেন।
হাদিস শরিফে এসেছে, যে ব্যক্তি এই সূরা সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয়ের সময় পাঠ করবে তার অভাব দূর্দশা থেকে তিনি মুক্তি পাবেন। হাদীস শরীফে আরো এসেছে, যে ব্যক্তি এই সূরা পাঠ করে ঘুমাতে যাবে তাও জাগ্রত হওয়ার সময় সেই ব্যক্তি পবিত্র অবস্থায় জাগ্রত হবে।
এই সূরা পড়লে বাইরে গেলে সকল ধরনের দুর্ঘটন এবং বালা-মুসিবত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। যারা এই সূরা নিয়মিত পাঠ করেন। সে ব্যক্তি কোন সময় ঈমান হারা হয়ে মৃত্যুবরণ করবে না।
সাহাবায়ে কেরামের বক্তব্য অনুযায়ী ফজিলত
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের রা: বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি সূরা ইয়াসিন অভাব-অনটনের সময় পাঠ করে। তাহলে তার অভাব দূর হয়, সংসারে শান্তি ও রিজিকে বরকত লাভ হয়। সুরা ইয়াছিন একবার পাঠ করলে দশবার কোরআন খতম করার নেকী হয় এবং পাঠকের সব গুনাহ মাফ হয়। হাদীসে আরো বলা হয়েছে, রাতে সুরা ইয়াছিন পাঠ করলে নিস্পাপ অবস্থায় ঘুম থেকে উঠা যায় এবং পূর্বের গুনাহ মাফ হয়ে যায়।
আশা করি বন্ধুরা, এই পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সামনে বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে দিয়েছি। আরো যদি কোন তথ্য জানা থাকে। আমাদের ওয়েবসাইটে এসে জেনে নিতে পারেন। সূরা ইয়াসিন সহ অন্যান্য সূরার ফজিলত এবং তরজমা এবং বাংলা উচ্চারণ সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আপনাদেরকে আমাদের ওয়েবসাইটে আসতে হবে মনোযোগ দিয়ে আর্টিকেলটি পড়তে হবে।
সূরা ইয়াসিনের ফজিলত অন্যান্য সূরার তুলনায়
পবিত্র কুরআনুল কারীমে মোট ১১৪টি সূরা রয়েছে। এর মধ্যে ৩৬ নম্বর সূরা নাম হচ্ছে সুরা ইয়াসিন কোরআন শরীফের যে সকল সূরা রয়েছে তার মধ্যে সুরা ইয়াসিন সহ আরো হাতে গোনা কয়েকটি সূরা রয়েছে। যেগুলোর ফজিলত অন্যান্য সূরা তুলনায় অনেক বেশি। যে ব্যক্তি নানা নানা ভাই এই সূরা সকালে পাঠ করবে। তার সন্ধ্যা পর্যন্ত সকল ধরনের বালা-মুসিবত থেকে দূরে থাকবেন এবং আপনি যে ব্যক্তি সন্ধ্যার সময় এই সূরা পাঠ করবেন। তিনি ভোর পর্যন্ত সকল ধরনের বালা মুসিবত থেকে বিরত থাকবেন।
অনলাইনে সূরা ইয়াসিন সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ
আপনার অনেক সময় ইন্টারনেটে এসে জানতে চান যে পবিত্র কোরআনে সূরা ইয়াসীন সম্পর্কে। আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সামনে পবিত্র কোরআনের সূরা ইয়াসিন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করছি। সুরা ইয়াসিন পড়লে কি কি ফজিলত হয় এবং সূরা ইয়াছিনের আয়াত সংখ্যা কতটি। তা বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে আমাদের আজকের আর্টিকেলে।
আল-কুরআনে ১১৪ টি সূরা আছে। প্রত্যেকটা সূরারই এক বা একাধিক ফজীলত রয়েছে। তবে সূরা ইয়াসীনের ফজীলত সম্পর্কে অনেক হাদিসে বর্ণিত আছে। তবে এগুলির মানের দিক থেকে কেউ কেউ বলছেন যঈফ, জাল ইত্যাদি। সুরা ইয়াসীন যেকোন সময় পাঠ করতে পারেন। কেননা, রাসূল (সাঃ) বলেন, তোমরা কুরআন পাঠ কর। কেননা কিয়ামত দিবসে কুরআন তারপাঠকের জন্য সুপারিশকারী হবে।
সুরা ইয়াসিন আপনি দিনের যেকোন সময় তিলাওয়াত করতে পারেন৷ এর ফজিলত সহীহ হাদিসের আলোকে তুলে ধরা হল।
যে ব্যক্তি সর্বদা প্রত্যেক রাতে সূরা ইয়াসিন পাঠ করল এবং এ অবস্থায় সে মৃত্যু বরণ করলো ,তবে সে শহীদ হিসেবে মৃত্যু বরণ করলো। আল মু’জামুল আসওয়াত, পঞ্চম খণ্ড, পৃষ্ঠা নং ১৮৮ ও ৭০১৮।
সূরা ইয়াসিন এর ফজিলত নিয়ে শেষ কথা
আশা করি বন্ধুরা, এই পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সামনে কাঙ্খিত প্রশ্নের জবাব দিতে পেরেছি। আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি উদ্দেশ্যের জন্য নিয়মিত কোরআন শরীফ পড়ুন এবং সুরা ইয়াসিন বেশি বেশি পাঠ করুন এবং সুরা ইয়াসিন আরবি পড়ার পাশাপাশি এর অর্থ বুঝুন এবং সেই মোতাবেক আমল করার চেষ্টা করুন।
আরো পড়ুন >> আজওয়া খেজুর ও খেজুরের উপকারিতা
মাশাআল্লাহ অসাধারণ