ইমাম আবু হানিফা : ইসলামের নিবেদিত এক সৈনিকের জীবনী

ইমাম আবু হানিফা – যাকে বলা হয় ইমামে আজম অর্থাৎ সর্বশেষ্ঠ ইমাম। আর কোনো ব্যক্তিকে এই পদমর্যাদা দেওয়া হয়নি। একমাত্র ইমাম আবু হানিফা এই মর্যাদার অধিকারী। তাঁর জীবনকাল ছিল ইসলামের সোনালি যুগে। উমাইয়া খিলাফত থেকে আব্বাসীয় খিলাফত – এই খিলাফতের শাসনই তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন। ফিকহ্ শাস্ত্র ও হানাফি মাজহাবের প্রতিষ্ঠায় আবু হানিফার নাম চিরকাল ইসলামের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। জীবদ্দশায় ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিলেও তাঁর মৃত্যু হয়েছিল নির্মমভাবে।

জন্ম, বেড়ে ওঠা, মৃত্যু – ইমামে আজম আবু হানিফার জীবনী নিয়ে লেখা এই পোস্ট। ইসলামের শ্রেষ্ঠ এই ব্যক্তির জীবনী সম্পর্কে না জানলে ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞানার্জন অপূর্ণ থেকে যাবে।

ইমাম আবু হানিফা  (রাহ.)-এর জন্ম ও বংশ পরিচয়

উমাইয়া খিলাফতকালে ৬৯৯ সালের ৫-ই সেপ্টেম্বর, আরবি ৮০ হিজরির ৪-ই শাবান  ইরাকের কুফা নগরীতে জন্ম গ্রহণ করেন ইমামে আজম। তিনি যখন জন্মগ্রহণ করেন তখন উমাইয়া শাসক ছিলেন আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ান। তাঁর পুরো নাম আবু হানিফা আল নুমান ইবনে সাবিত ইবনে যুতা ইবনে মারযুবান। ডাকনাম ছিল নোমান। নুমান নামেই তিনি সর্বাধিক পরিচিত ছিলেন। তাঁর পিতার নাম সাবিত বিন যুতা। দাদার নাম ছিল যুতা। তাঁর বংশ ছিল মূলত আফগানিস্তানের বাসিন্দা।

আবু হানিফা (রাহ.)- এর বংশ পদবি নিয়ে একাধিক ইতিহাসবিদ একেক কথা বলেছেন। তবে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য মত অনুযায়ী ইমাম আবু হানিফা (রাহ.) ছিলেন আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের পারসিক বংশের।

তাঁর বয়স যখন ৬ বছর, তখন উমাইয়া শাসক আব্দুল মালিক মারা যান। বয়স যখন ১৬, তখন তিনিপিতার সাথে প্রথম বার হজ্জে যান।

হযরত আলী (রা:)- এর সান্নিধ্য 

আবু হানিফার দাদা একদিন তাঁর পিতা সাবিতকে নিয়ে তখনকার ইসলামের চতুর্থ খলিফা হযরত আলী (রা:)- এর কাছে গিয়েছিলেন। হযরত আলী (রা:) তাঁর পরিবারের মঙ্গল কামনা করে মহান আল্লাহ’র কাছে দুআ করেন।

তাই কোনো কোনো ইতিহাসবিদ বলেন যে, হযরত আলীর দুআর কারণেই সেই বংশে ইমাম আবু হানিফার মতো ইসলামের বিখ্যাত এক ব্যক্তির জন্ম হয়।

শিক্ষাগ্রহণ ও শিক্ষাদান 

ব্যবসায়িক কাজে একদিন বিশিষ্ট ইমাম হযরত শাবী (রাহ.)- এর সাথে আবু হানিফার দেখা হয়। তঝন তাঁর বয়স ছিল উনিশ-বিশ। ইমাম শাবী (রাহ.) আবু হানিফার চেহারাশ এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য দেখে মুগ্ধ হন। এবং আবু হানিফাকে জিজ্ঞেস তাঁর কাজের কথা জিজ্ঞেস করেন। উত্তরে আবু হানিফা বলেন, পিতার ব্যবসা দেখাশোনা করতে তিনি বিভিন্ন দোকানে মালামাল আদান-প্রদান করেন।

তা শুনে ইমাম শাবী তাঁকে লেখাপড়া করার পরামর্শ দিলেন।

তখন থেকেই তুখোড় মেধার অধিকারী আবু হানিফা হয়ে যান জ্ঞান পিপাসু মানুষ। কুফা নগরীতেই তাঁর লেখাপড়ার হাতেখড়ি। ইলমে কালাম শাস্ত্রে শিক্ষালাভের মাধ্যমে তাঁর শিক্ষা জীবন শুরু হয়। তখন এই শাস্ত্রটি দর্শন এবং আধুনিক ভাষাবিজ্ঞানে পরিচিত ছিল।

এই শাস্ত্রে যথাযথ জ্ঞানার্জনের পর তিনি ফিকহ্ শাস্ত্র ও পাশাপাশি হাদিসে জ্ঞান অর্জন করতে শুরু করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি প্রায় ৪ হাজার শিক্ষাগুরুর সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন। তন্মধ্যে হাম্মাদ ইবনে যাইদ (রাহ.) কে তিনি তাঁর শ্রেষ্ঠ ও প্রধান শিক্ষাগুরু হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। হাম্মাদ (রাহ.) ছিলেন সেই সময়ের বিশিষ্ট জ্ঞান বিশারদ ও হাদিসগ্রন্থের শ্রেষ্ঠ বিশেষজ্ঞ।

হাম্মাদ (রাহ.) -এর শিক্ষালয়ে তিনি দীর্ঘ ১৮ বছর শিক্ষা নেন। ফিকহ্ ও হাদিসে পাণ্ডিত্য অর্জন করেন। ১২৪ হিজরিতে প্রধান শিক্ষাগুরুর মৃত্যুর পর শিক্ষকতা করার যোগ্যতা থাকার পরও তিনি ছাত্র হিসেবেই সেই শিক্ষালয়ে থেকে যান।

তিনি শিক্ষকতা শুরু করেন ৪০ বছর বয়সে। তাঁর শিক্ষাদানকারী গুণের জন্য তিনি তখন পরিণত হন কুফার শ্রেষ্ঠ ফিকহ্ ও হাদিস বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিত্বে। দীর্ঘদিন তিনি শিক্ষাদান কার্যক্রম চালিয়ে যান। ফিকহ্ শাস্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যান।

জীবিকার ব্যবস্থা

ইসলামী ইতিহাসবিদদের বরাতে জানা যায়, তিনি ছিলেন বংশগত কাপড় ব্যবসায়ী। তাঁর পিতা, দাদা কাপড়ের ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পারিবারিক পেশা হিসেবে আবু হানিফাও এই পেশাকে বেছে নেন। তাঁর ১৬ বছর বয়সে তাঁর পিতা মারা যান। তারপর পরবর্তী বংশধর হিসেবে তিনি এই পেশা গ্রহণ করেন।

সততা, নিষ্ঠাবান ও ব্যবসায়িক দক্ষতার পরিচয় দিয়ে দ্রুত তাঁর ব্যবসার প্রসার করতে সক্ষম হন। কাপড়ের ব্যবসা করেই তিনি খুব ভালো পরিমাণে সম্পদ অর্জন করেন। তাঁর ব্যবসার অর্থ দিয়েই তিনি নিজের জীবিকা নির্বাহ সহ শিক্ষা-দীক্ষার কাজে ব্যয় বহন করেছেন। সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি হওয়া স্বত্বেও কারও সাহায্য, অনুগ্রহের মুখাপেক্ষী হননি।

ইমাম আবু হানিফা
ইমাম আবু হানিফা (রাহ.)

হাদিস সংকলন 

ফিকহ্ শাস্ত্রে জ্ঞান অর্জন শেষে হাদিসের দিকে তিনি মনোযোগ দেন। হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর মৃত্যুর প্রায় ৭০ বছর পর আবু হানিফা জন্মগ্রহণ করেন। তাই তখনও সেভাবে হাদিস সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েনি। শুধু মক্কা ও মদীনার কিছু ব্যক্তি হাদিস জানতেন। তিনি ৪ হাজার হাদিসবিদদের সান্নিধ্যে থেকে হাদিস সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করেছেন।

সেসব ব্যক্তিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন- হযরত কাতাদাহ (রাহ.), হযরত শুবা (রাহ.), হযরত আতা (রাহ.), হযরত ইকরামা (রাহ.)। এই বিশিষ্ট হাদিসবিদদের কাছ থেকে হাদিসে বিশেষ শিক্ষা নিয়ে তিনি হাদিসে পাণ্ডিত্য লাভ করেন। হাদিস সংকলনের কাজে নিজেকে সঁপে দেন। তাঁর সংগ্রহ করা হাদিস ছিল বিশুদ্ধ, নির্ভুল। তাই হাদিস বিশারদগণ ইমাম আবু হানিফার বলা হাদিস নির্দ্বিধায় বিশ্বাস করে হাদিস সংগ্রহ করতেন। বিশুদ্ধ ও নির্ভুলভাবে হাদিস সংকলনের জন্য তাঁকে বলা হয় “আমিরুল মু’মিনিন”।

ইমাম আবু হানিফা মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত 

ইতিহাসে জানা যায় ইমামে আজমের সাথে এক মুচির ঘটনা।

ইমাম আল আজমের ধর্মকর্ম নিয়ে সমাজের মানুষ সবসময় বলাবলি করতো। একদিন ইমাম আল আজম রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। তখন শুনতে পেলেন একদল লোক নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছিল যে,-” এই, তুমি কি জানো? আমাদের ইমাম সারারাত জেগে আল্লাহ’র ইবাদাত করেন?”। অন্যরা বলেছে, -” হ্যা, এটা সত্যি।”

কিন্তু আবু হানিফা তা শুনে খুশি হতে পারেননি। কারণ তিনি তখনও সেভাবে ইবাদাত করেন না। তাই তিনি লোকজনের ছড়ানো কথা সত্যি করতে সেদিন থেকেই রাত জেগে ইবাদত-বন্দেগি করতেন। দিনের বেলা নিজের ব্যবসার কাজ ও অন্য কাজগুলো করতেন। প্রতি রাতে ইবাদাতে কান্নাকাটি করে তিনি আল্লাহ’র সাহায্য চাইতেন, আল্লাহ্কে খুশি করতে চেষ্টা করতেন। এভাবে তিনি আল্লাহ’র আরও নৈকট্য লাভ করেন।

কিন্তু ইবাদাতের সময় একটি বিষয় তাঁকে বিরক্ত করতো। তিনি যখন ইবাদাতে মগ্ন থাকেন, তখন তাঁর প্রতিবেশী এক লোক যে পেশায় মুচি সে প্রতি রাতে নেশা করে নাচ-গান করতো। যা ইমাম সহ অন্যান্য প্রতিবেশীদেরও বিরক্ত করে তুলে। এক রাতে তিনি সেই মুচির কোনো সাড়াশব্দ পেলেন না। তিনি ভাবনায় পড়ে গেলেন। পরেরদিন সকালে তিনি মুচির বাড়ি যান খোঁজ নিতে। গিয়ে শুনেন অন্য প্রতিবেশীদের দেওয়া বিচারে প্রশাসকের লোকেরা এসে মুচিকে ধরে নিয়ে গিয়েছে বিচার করতে। 

তা শুনে ইমাম আল আজম ছুটে যান প্রশাসকের দরবারে। সবাই তাঁকে দেখে অবাক হয়। মুচির বিচারের কথা বললে তখন ইমাম আল আজম বলেন, তিনি মুচিকে সাথে করে নিয়ে যাবেন। বিচারপতি তাঁর কথা শুনে বিনাবাক্যে মুচিকে ছেড়ে দেয়। মুচিকে সাথে করে আবু হানিফা (রাহ.) নিজ এলাকায় চলে আসেন।

পরেরদিন আবার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তিনি মুচির বাড়ি গেলেন। মুচি তাঁকে দেখে দৌড়ে এসে কান্না করে দেয়। মুচি বলে, -” ইমাম আল আজম, আমি মুচি বলে কেউ আমাকে সম্মান দেয় না, আমাকে নিচু জাত বলে অবহেলা করে। এই দুঃখে আমি নেশা করে হৈ-হুল্লোড় করতাম। কিন্তু আপনি একজন বড় ইমাম হয়েও আমাকে সম্মান দিয়েছেন। তাই এখন আমাকে আপনার নেশা পেয়ে বসেছে। ধর্মের নেশা পেয়ে বসেছে। তাই আমি এখন আর অন্য নেশায় যেতে পারি না। আমি ইবাদাতে নিজেকে সঁপে দিয়েছি।”

এই ঘটনা থেকে আমরা বুঝতে পারি, আমিরুল মু’মিনিন মানবতার জন্য কীরূপ দৃষ্টান্ত।

সাহাবিদের সাথে সাক্ষাৎ 

হযরত মুহাম্মদ সাঃ ও বিশিষ্ট ৪ সাহাবায়ে কেরাম যখন জীবিত ছিলেন, তখন আবু হানিফা (রাহ.)-এর জন্মই হয়নি। তাঁর জন্ম হয়েছে অনেক পরে। তাই তিনি তেমন বিশিষ্ট সাহাবিদের সাক্ষাৎ পাননি। 

ইবনে মাজার মাক্কীর বর্ণনা মতে, ইমাম আল আজম যেসকল সাহাবির সাক্ষাৎ লাভ করেছিলেন, তাঁরা ছিলেন- আনাস ইবনে মালিক, ওয়াসিলা ইবনে আসকা, আব্দুল্লাহ ইবনে আবি আওফা, সাহাল ইবনে সা’দ, আবু তোফায়েল, আব্দুল্লাহ ইবনে জুবাইদি, জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ।

ফিকহ্ শাস্ত্র ও হানাফি মাজহাব 

ফিকহ্ বিশেষজ্ঞ ৪০ জনের একটি দল গঠন করল তিনি ফিকহ্ শাস্ত্র ও ইসলামী বিভিন্ন আইন সংকলন করা ও সম্পাদনার কাজ করেন। তাই তাকে ফিকহ শাস্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা ও জনক বলা হয়।

ইসলামের প্রসিদ্ধ চারটি মাজহাবের মধ্যে “হানাফি মাজহাব” একটি। আবু হানিফা (রাহ.) এই মাজহাব প্রতিষ্ঠা করেন। হানাফি মাজহাবকে সর্বাপেক্ষা সঠিক সুন্নি মাজহাব হিসেবে বলা হয়।

ইমাম আবু হানিফা
ইমাম আবু হানিফা (রাহ.)

ইমাম আবু হানিফা  (রাহ.)- এর জীবনাবসান 

জীবনের শুরুতে তিনি ছিলেন উমাইয়া খিলাফতের বাসিন্দা। জীবনের শেষের দিকে আব্বাসীয় খিলাফতে বসবাস করেন। 

সেসময় আব্বাসীয় খিলাফতের শাসক ছিল আল মানসুর। ইসলামের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি হওয়ায় আল মানসুর রাজ্য পরিচালনায় কাজির ( তৎকালীন প্রধান বিচারপতি) পদ দিতে চান আবু হানিফাকে। কিন্তু আবু হানিফা তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন।

আল মানসুর জানতেন আবু হানিফা এই পদের জন্য উপযুক্ত। কিন্তু আবু হানিফা বলেছেন তিনি এই কাজি পদের উপযুক্ত নন। এই তর্কবিতর্ক হওয়ায় খলিফা তখন আবু হানিফাকে মিথ্যাবাদী বলে দোষারোপ করেন।

আবু হানিফা বলেছিলেন – “সত্যিই যদি আমি মিথ্যুক হয়ে থাকি, তাহলে আমি যে কাজির পদ নিতে অনুপযুক্ত বলেছি তা সঠিক। কারণ, একজন মিথ্যুককে কেন আপনি কাজির পদ দিবেন? মিথ্যাবাদী বলেই তো আমি এই পদের উপযুক্ত নই”।

ইমামের এই কথায় খলিফা ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠান। কারাগারে থাকা অবস্থায় ৭৬৭ সালে ( আরবি ১৫০ হিজরি) মৃত্যুবরণ করেন ইমামে আজম।

কথিত আছে, খলিফার নির্দেশে বিষপ্রয়োগ করে ইমামকে হত্যা করা হয়। আবার অনেকেই বলে, খলিফার বিরুদ্ধে অস্ত্র নিয়ে বিদ্রোহ করতে চেষ্টা করেছিলেন আবু হানিফা। তাই তাঁকে কারাগারে ফাঁসি দিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

তাঁর মৃত্যুর পর বাগদাদে তাঁকে সমাহিত করা হয়। বাগদাদে আবু হানিফার নামে একটি মসজিদ নির্মাণ হয়। যদিও ১৫০৮ সালে সেই মসজিদ সহ আব্দুল কাদির জিলানীর মাজার ও অন্যান্য সুন্নি নিদর্শন গুলো সাভাফি শাসক শাহ ইসমাইল ধ্বংস করে দেয়। তবে ১৫৩৩ সালে উসমানীয় সাম্রাজ্যের শাসকেরা ইরাকের দখল নেওয়ার পর আবু হানিফা মসজিদ ও আব্দুল কাদির জিলানীর মাজার সহ অন্যান্য সুন্নি নিদর্শন গুলো পুনরায় নির্মাণ করেন।

ইতিকথা

সর্বশেষ্ঠ ইমাম আবু হানিফা (রাহ.) ছিলেন ইসলামের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর কারণে ইসলামের আরও প্রসার, ফিকহ্ ও হাদিসের সঠিক সংকলন সম্ভব হয়। হানাফি মাজহাব অনুসারীরা সবসময় প্রিয় ইমামকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে।

আরো পড়ুন >> রাসূল সাঃ এর প্রিয় ১০ টি খাবার সম্পর্কে জেনে নিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *