চাশতের নামাজের ফজিলত ও উপকারিতা 

এই পোস্টের মাধ্যমে চাশতের নামাজের ফজিলত সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিসরে আলোচনা করা হবে, আপনারা সকলে গুরুত্ব দিয়ে এই পোস্টটি পড়তে থাকেন ইনশাআল্লাহ অনেক ফায়দা হবে। আমাদের সকলের জানা উচিত যে চাশতের নামাজ মূলত কি জন্য পড়তে হয়। নফল নামাজের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নামাজ হলো তাহাজ্জুদের নামাজ, তাহাজ্জুতের নামাজের পরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নামাজ হলো চাশতের নামাজ, চাশতের নামাজকে সালাতুদ দোহা ও বলা হয়। চাশতের নামাজ সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনেক হাদিস আছে। যদিও আমাদের সমাজের সবচেয়ে কম মানুষ এই না নামাজটি আদায় করে। এই পোস্টটি পড়ার পরে আমরা সকলে প্রতিনিয়ত চাশতের নামাজ পড়র চেষ্টা করবো 

চাশতের নামাজের ফজিলত 

মানুষের শরীরে মোট ৪০ হাজার জোড়া আছে আর প্রত্যেকটি জোড়ার শুকরিয়া আদায় করা মানুষের জন্য অপরিহার্য  চল্লিশ হাজার জোড়ার শুকরিয়া আদায় হলো প্রতিদিন সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আকবার এইসব জিকির আজকার গুলো ৪০ হাজার বার  করা। যেহেতু আমাদের পক্ষে এইভাবে প্রতিদিন ৪০  হাজার জোড়ার শুকরিয়া আদায় করার সম্ভব না।  চাশতের নামাজ এমন একটি নামাজ এই নামাজ পড়লে মানুষের শরীরের চল্লিশ হাজার জোড়ার শুকরিয়া আদায় করা হয়ে যাবে। এই দুই রাকাত চাশতের নামাজ পড়লে ৪০ হাজার জোড়া থেকে শুকরিয়া আদায় হয়ে যায়। 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সব সময় চাশতের  নামাজ পড়তেন এবং সকল  সাহাবীদেরকে পারার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চাশতের নামাজকে অনেক গুরুত্ব দিয়ে পড়তেন, চাশতের নামাজ হলো ইসলামের নফল নামাজের মধ্যে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ নফল নামাজ তাই সকালের উচিত চাশতের নামাজ নিয়মিত পড়া, যদিও এখন আমরা অনেক ব্যস্ততার কারণে এই নামাজটা একেবারে ছেড়ে দিয়েছি কিন্তু এই নামাজটা নিয়মিত পড়া আমাদের জন্য অপরিহার্য এবং আমাদের জন্য অনেক কল্যাণকর। 

আমাদের কর্মব্যস্ততার কারণে আমরা এখন সময়ের অভাবে এই নামাজটি পড়তে পারি না যদি প্রতিদিন পড়তে না পারি, তবে আমাদেরকে একদিন পরপর করে হলেও এই নামাজটা পাড়া জরুরী যদি একদিন পরপর না পড়তে পারি তাহলে অন্তত সপ্তাহে একদিন পড়া কমপক্ষে আর যদি সপ্তাহে একদিন পড়তে ও না পারি তাহলে অন্তত মাসে একবার করে হলেও পড়া। ছুটির দিনে আমাদের সকলের উচিত এই নামাজটি পড়া। 

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে অন্তিম সজ্জায় তিনটি ওসিহত করে গিয়েছেন। এক নাম্বার হল  প্রতি মাসে তিনটি রোজা রাখা, দুই নাম্বার হল প্রতিদিন চাশতের নামাজ আদায় করা, তিন নাম্বার হল ঘুমানোর পূর্বে বিতরের নামাজ পড়া। এ থেকে বোঝা যায় যে চাশতের নামাজের গুরুত্ব অপারিশীম কেননা মৃত্যুর পূর্রে অসিহত করে গিয়েছেন নামাজের কথা যে সমস্ত বিষয়গুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ সেই বিষয়গুলো মানুষ মৃত্যুর পূর্বে ওসিহত করে যান। আর যেটা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম অসিহত করে গিয়েছেন সেটার গুরুত্ব তো হাজরা গুণ বেশি 

চাশতের নামাজ পড়ার সময় 

সূর্য উঠার ১০-১৫ মিনিট পর থেকে জোহরের আগ পর্যন্ত যেকোনো সময় চাশতের নামাজ পড়া যায়।   তবে দ্বি-পহরের সময় কোন নামাজ আদায় করা যাবে না দ্বি প্রহরের সময় নামাজ পড়া হারাম দ্বিপ্রহর হল সূর্য যখন মাঝামাঝি অবস্থায় থাকে ওই সময়টাকে দ্বিপ্রহর বলা হয়। চাশতের নামাজের সর্ব উত্তম সময় হলো সূর্য উদিত হওয়ার একটু পর থেকে উটের বাচ্চা গরম অনুভব করা এই পরিমাণ সূর্য তাপ হাওয়া পর্যন্ত এই সময়টা হচ্ছে সর্ব উত্তম সময়। 

চাশতের নামাজ কত রাকাত পড়তে হয় 

চাশতের নামাজ কত রাকাত পড়তে হয় তা নিয়ে বিভিন্ন মতামত রয়েছে, তবে কমপক্ষে দুই রাকাত পড়তে হয় বেশির কোন সীমা নায় যতটুকু পারা যায়। তবে বিভিন্ন ওলামায়ে কেরাম ১২ রাকাতের কথা উল্লেখ করেছেন। সুতরাং প্রতিদিন আমাদের সাধ্য অনুযায়ী কমপক্ষে দুই রাকাত বা  চার রাকাত করে চাশতের নামাজ আদায় করা উত্তম।

আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে প্রতিদিন গুরুত্বপূর্ণ এই আমল করার তৌফিক দান করুন  আমিন 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *