সুচিপত্র
- 1 জুম্মার খুতবা এর গুরুত্ব
- 2 জুম্মার খুতবা আরবীতেই চলবে নাকি বাংলায় দিতে হবে
- 3 জুম্মার খুতবা এর ফজিলত
- 4 ইতিকথা
- 5 আশা করি বন্ধুরা পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পেরেছেন। খুতবার ফজিলত সম্পর্কে। আপনাদের সুবিধার্থে আমরা খুতবার বেশ কিছু পিডিএফ আমাদের ওয়েবসাইট ইতিমধ্যে আপলোড করেছি। আশা করি বন্ধুরা বুঝতে পেরেছেন আজকে এ নিবন্ধন। পরবর্তী পোস্টে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
- 6 Share Now:
আল্লাহতালা মানব জাতির উদ্দেশ্যে বেশ কিছু আমল দিয়েছেন। আমরা আল্লাহ প্রদত্ত একজন বান্দা। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সৃষ্টি করেছেন তার এবাদত বন্দেগী পালন করার উদ্দেশ্যে। আল্লাহ তা’আলা মানুষের জীবনের পথপ্রদর্শক হিসেবে বেশ কিছু পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠিয়েছেন। তার মধ্যে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ গুলো হচ্ছে তাওরাত, যাবুর, ইঞ্জিল, কুরআন, এর মধ্যে আল কুরআন পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। এ ধর্ম গ্রন্থ অনুযায়ী সকল মুসলমানদের উপর পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা ফরজ। প্রত্যেক শুক্রবার মানবজাতির উদ্দেশ্যে জুমার নামাজ পড়তে হয়। জুমার নামাজ পড়ার সময় ইমাম জুম্মার খুতবা পাঠ করে থাকেন। জুম্মার খুতবা শোনা ওয়াজিব। এবং জুমার খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং তা পালন করা ওয়াজিব। আপনার অনেক সময় ইন্টারনেটে এসে জুমার খুতবা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য জানতে চান। আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সামনে জমার খুতবা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করব।
জুম্মার খুতবা এর গুরুত্ব
জুমার খুতবার গুরুত্ব অপরিসীম। আপনারা যারা জুমার খুতবার ফজিলত সম্পর্কে জানার জন্য ইন্টারনেট অনুসন্ধান করছেন। আমাদের ওয়েবসাইটে এসে জেনে নিতে পারেন। জুমার খুতবা দেওয়ার জন্য বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে। আগে মনে রাখতে হবে জুমার খুতবা অর্থ কি। খুতবা শব্দের অর্থ বক্তৃতা দান করা, যেখানে আল্লাহ এবং কোরআন হাদিস সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য দেওয়া থাকবে। এর ধারাবাহিকতায় আমি আপনাদের সামনে জুমার খুতবার বাংলা অর্থ এবং তরজমা উপস্থাপন করেছি। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে এসে জুমার খুতবা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত প্রশ্নের জবাব পেয়েছেন।
আপনি যদি জুমার খুতবা দিতে চান। তাহলে আপনাকে অবশ্যই কিছু পদ্ধতি মেনে যেতে হবে। জুমার খুতবা দেওয়ার আগে কোন বিষয়ের উপর জুমার খুতবা দিবেন। সে বিষয়টি নির্বাচন করা উচিত। যেমন সুদ, ঘুষ, দুর্নাম, পরের হক মেরে খাওয়া ছাড়া ও বেশ কিছু তথ্য গুলোর উপরে আপনারা সুন্দর সুন্দর জুমার খুতবা তৈরি করতে পারেন। যেগুলো মুসল্লিদের মনে দাগ কাটতে পারে। এক্ষেত্রে জুমার খুতবা দেওয়ার আগে আপনারা সেগুলোর জন্য ভাল প্রস্তুতি নিতে পারেন। কোরআন হাদিস থেকে বেশ কিছু উদ্ধৃতি সংগ্রহ করতে পারেন এবং সেগুলো মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে পেশ করতে পারেন। জুমার নামাজ আদায় করার পূর্ব শর্ত হচ্ছে জুমার খুতবা। এ ছাড়া জুমার নামাজ আদায় হয় না। অবশ্যই মুসল্লিদের বিভিন্ন কাজ থেকে বিরত থেকে এই জুমার খুতবা শোনা ওয়াজিব। তাই আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সামনে জুমার খুতবা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করছি। যেগুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
বর্তমান সময়ে বিভিন্ন মসজিদ প্রাঙ্গনে দেখা যায় যে, জুমার খুতবার সময় এমনি বেশ কিছু নাজায়েজ কাজ চলে। দান বাক্স চালনা করা হয়। যেটা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এজন্য সকল মুসল্লীদের এ বিষয়ে তার সচেতন থাকা উচিত। জুমার খুতবা মানুষের মন দিয়ে শোনা উচিত। জুমার খুতবায় ইমাম সাহেবকে কি বলেন সেই বিষয়ে অবগত থাকা উচিত।

জুম্মার খুতবা আরবীতেই চলবে নাকি বাংলায় দিতে হবে
খুতবা আরবি শব্দ। এই শব্দটির আভিধানিক অর্থ হচ্ছে বক্তৃতা দান করা, ভাষণ দেওয়া। জুমার খুত অসাধারণ দুই রাকাত সালাতের আগে প্রায় এক ঘণ্টা থেকে দেড় ঘন্টা ব্যাপী ইমাম সাহেব পেশ করেন। হাদিস শরীফে এসেছে জুমার সময় কথা বলা এবং অন্যান্য কাজ করা হারাম এবং জুমার খুতবা সোনা ওয়াজিব। আবার হাদীস শরীফে এসেছে। জুমার খুতবা চলাকালী সময় সুন্নাত বা নফল নামাজ আদায় করা নিষেধ। আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সামনে জুমার খুতবা কিভাবে পড়বেন। সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করেছি। আর যদি কোন তথ্য জানতে চান। আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া অন্যান্য আর্টিকেল মনোযোগ দিয়ে পড়ে নিলে জানতে পারবেন।
কিছু কিছু মানুষ ভাবে খুতবা বাংলা ভাষায় বা মাতৃভাষায় দিতে হবে। কিন্তু জুমার খুতবা অবশ্যই আরবি ভাষা হওয়া উচিত। জমার খুতবা সময় কোন ধরনের অহেতুক কথাবার্তা বা গল্প গুজব করা যাবেনা। দীর্ঘ মনে চিত্তে অবশ্যই আপনাকে এটা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে, প্রত্যেক দিনে পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের চেয়ে শুক্রবারের জুমার নামাজ কেন এতটা গুরুত্বপূর্ণ। জুমার নামাজের আগে এমনে ইমাম সাহেব যে খুদবা প্রদান করে থাকেন মানুষ জাতির উদ্দেশ্যে। তা বসে মনোযোগ দিয়ে শোনা উচিত। সেটা হতে পারে মাতৃভাষায় অথবা আরবি ভাষায়।
জুম্মার খুতবা এর ফজিলত
সুপ্রিয় পাঠক। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আপনারা অনেক সময় ইন্টারনেটে এসে জুমার খুতবার ফজিলত এবং জুমাখুদবা পাঠ করার নিয়ম সম্পর্কে জানার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। এরি ধারাবাহিকতায় আজকে আর্টিকেল সাজিয়েছি। আপনাদের জন্য এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। কিভাবে আপনারা জমার খুতবা প্রদান করবেন। জুমার খুতবা শব্দের অর্থ হচ্ছে বক্তৃতা প্রদান করা, ভাষণ প্রদান করা। যেটা প্রত্যেক শুক্রবার দুই রাকাত ফরজ নামাজের আগে ইমাম সাহেব মানব জাতির উদ্দেশে পেশ করেন।
জুমার দিন জুমার নামাজে খতীবের খুতবা শোনা ওয়াজিব।তাই অবশ্যই আমাদের জুম্মার খুতবা সোনা দরকার। খুতবা চলাকালীন মুসল্লিদের জন্য কথাবার্তা বলা নিষেধ। এছাড়া অহেতুক কোন কাজ থেকে বিরত থাকা জুমার খুতবার একটা অংশ।
জুমার খুতবা নামাজের একটি অংশ। এটা শোনাও ওয়াজিব। তাই তোমার দোয়া চলাকালীন সময়ে যেকোনো ধরনের শরীয়ত সম্মত কাজ ব্যতীত যে কোন কাজে শরীয়ত সম্পন্ন নয়। আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সামনে জমার খুতবা জন্য বেশ কিছু আলোচ্য না করেছি। যেগুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। আপনারা যদি কোন বিষয়ের উপর জানতে চান এবং কোন বিষয় সম্পর্কে জানতে চান।
অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন, জুমার খুতবা বাংলায় অথবা আরবিতে দেওয়া বাঞ্ছনীয় কিনা। খুতবা বাংলায় দেয়া উত্তম, খুতবা হল ভাষণ, আর যে ভাষার মানুষ তার কাছে সেই ভাষায় খুতবা বা ভাষণ দিলেই বুঝতে পারবে।
তাই আজকে আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সামনে জানাতে পেরেছি যে, জুমার খুতবা কিভাবে আপনারা দেবেন।
খুতবা দেওয়ার আগে অবশ্যই আপনারা কোন টপিকের উপর জুমার খুতবা দিবেন। তারপর একটা প্রিপারেশন নিয়ে যাবেন। আপনার জুমার খুতবা আরো বেশি সুন্দর এবং সাবলীল হচ্ছে এবং শ্রোতা শুনে মজা পাচ্ছে।
আশা করি বন্ধুরা এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পেরেছেন যে, একটি জুমার খুতবা কেমন হতে পারে। আরও যদি কোন তথ্য জানার থাকে। আমাদের ওয়েবসাইটে এসে জেনে নিতে পারেন
আজকে আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সামনে জানাবো। জুম্মার খুতবা কিভাবে দিবেন। আগে আপনাকে জানতে হবে জুমার খুতবা কি। জুম্মার খুতবা শব্দের অর্থ হচ্ছে বা বক্তৃতা দান করা বা ভাষণ

প্রদান করা। ইমাম সাহেব যখন খুতবা পাঠ করবেন। তখন নিরর্থক কথা না বলা অনুষাঙ্গীর কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়া এই সময় দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করা যাবে না। আশা করি বন্ধুরা এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পেরেছেন যে, জুমার খুতবা পড়ার নিয়ম সম্পর্কে।
জুমার খুতবা যখন পড়া হয়। তখন বিভিন্ন হাদিস সহিদ থেকে উদ্ধৃতি দেয়া হয়। আপনারা চাইলে খুতবা দেওয়ার আগে প্রস্তুতির জন্য বিভিন্ন হাদিস শরীফ থেকে বিভিন্ন উদ্ধৃতি গুলো সংগ্রহ করতে পারেন।
ইতিকথা
আশা করি বন্ধুরা পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পেরেছেন। খুতবার ফজিলত সম্পর্কে। আপনাদের সুবিধার্থে আমরা খুতবার বেশ কিছু পিডিএফ আমাদের ওয়েবসাইট ইতিমধ্যে আপলোড করেছি। আশা করি বন্ধুরা বুঝতে পেরেছেন আজকে এ নিবন্ধন। পরবর্তী পোস্টে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
আরো পড়ুন >> বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য রচনা